বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে অষ্টগ্রাম উপজেলা আ.লীগের উদ্যোগে সংবাদ সম্মেলন
আমাদের হাওড়াঞ্চল প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম সাগরের তথ্যচিত্রে ডেস্ক রিপোর্ট-
বিএনপি-জামাতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা অষ্টগ্রামে সংবাদ সম্মেলন করেছে অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ। সোমবার (৩ জুলাই) অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক হায়দারী বাচ্চু বলেন, গত শনিবার (১ জুলাই) বিএনপির চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক উপদেষ্টা এড. ফজলুর রহমান ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগদান করতে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্টে আসেন। এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে অষ্টগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপিসহ এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কয়েক’শ লাঠির মাথায় পতাকা সম্বলিত একটি মিছিল নিয়ে বেলা সাড়ে বারোটার দিকে জিরো পয়েন্টের দিকে যায়। সেখানে তাদের কি অনুষ্ঠান ছিলো এ বিষয়ে আমরা অবগত নই।
আগামী মঙ্গলবার (৪ জুলাই) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের অষ্টগ্রামে আগমন উপলক্ষে উপজেলা ছাত্রলীগ একই দিনে একটি স্বাগত মিছিল বের করে। মিছিলটি অষ্টগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জামতলী মোড়ে গেলে লাঠিশোটাসহ বিএনপির একটি মিছিল বিপরীত থেকে এসে উস্কানিমূলক ¯েøাগান দিতে থাকে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তখন পাল্টা ¯েøাগান দিলে দুই পক্ষের মধ্যে একটু বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিএনপির মিছিল থেকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ এবং ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এতে ছাত্রলীগ যুবলীগসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক কর্মী আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি আরোও বলেন এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী একটি সংবাদ সম্মেলন ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদী বলে আখ্যায়িত করেন। তার বক্তব্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যাচার ও বানোয়াট বলে প্রতীয়মান হয়। বিএনপি সবসময় মিথ্যাচার এবং নৈরাজ্যের রাজনীতিতে বিশ^াসী। পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে সঠিক সময়ে তার উচিত জবাব দেয়া হবে। আমার উপজেলা আওয়ামী লীগ এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম জেমস বলেন, গত ১ জুলাইয়ের ঘটনা অষ্টগ্রামের রাজনৈতিক ইতিহাসে ন্যাক্কারজনক ঘটনার আবির্ভাব ঘটিয়েছে। এ উপজেলার মানুষ সহমর্মিতার রাজনীতিতে বিশ^াসী ছিলো। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা তা নষ্ট করে দিয়েছে। বিএনপির অনুষ্ঠানস্থল বাজার থেকে অনেকটা দূরে। তারা কর্মসূচি শেষ করে ছাত্রলীগের উপর যে হামলা করবে তা যদি আমরা জানতাম তাহলে আমরা প্রতিহত করার চেষ্টা করতাম। এ ঘটনায় যারা আহত হয়েছেন তাদের জবানবন্দি নিয়ে একটি মামলা অষ্টগ্রাম মডেল থানায় দায়ের করা হয়েছে। সিসিটিভি ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘটনার ফুটেজ নিয়ে ঘটনায় জড়িতদের আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফজলুর রহমানের মতো একজন বিচক্ষণ রাজনীতিবিদের উপস্থিতিতে বিএনপি কর্তৃক এ ধরনের ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সায়েদুর রহমান সাঈদ, সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এড. ফাইজুল হক বিপ্লব, যুবলীগের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) মীর শামীম রেজা, ছাত্রলীগের আহŸায়ক শেখ তৌফিকুল ইসলাম তারিফ, যুগ্ম আহŸায়ক শামসুল হক শামীমসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য গত শনিবার (১ জুলাই) সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অষ্টগ্রাম আগমন উপলক্ষে ছাত্রলীগের একটি স্বাগত মিছিলে বিএনপির হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগের ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনার জেরে সোমবার (৩ জুলাই) অষ্টগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বাংলা খবর নিউজ ডেস্ক।